
মনিয়ন্দ চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক বংশতালিকা
২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ সাল
সজীব চৌধুরী (Social Media Alias Names: SAC/Shamsul Arifin Chowdhury)
আধুনিক বংশতালিকা ডাউনলোডের জন্য লিংক(2021rev):
বংশতালিকা ডাউনলোড এর লিংক পেজ এর নিচের দিকে দেয়া আছে
২০২১ সালে প্রকাশিত বংশতালিকার কিছু উল্ল্যেখযোগ্য বিষয়:
১) কিছু নিয়মের ভিত্তিতে বিশেষ পর্যায়ে উপনীত ব্যক্তি দের নামকরণ স্বর্ণালী করা হয়েছে।. এটি করার উদেশ্য হচ্ছে ভবিষতের তরুণ প্রজন্মকে আগের চেয়ে আরো ভালো করার জন্য উৎসাহিত করা.. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যারাই আগের চেয়ে ভালো করবে তাদের নাম অটোমেটিক ভাবেই স্বর্ণালী হতে থাকবে।. প্রতি ক্যাটাগরিতে একজনের নাম গোল্ডেন করা হয়েছে, যেমন ডাক্তাদের মধ্যে আবির চৌধুরী এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্থানে।. শুধু তার নামটাই আলাদা করে বর্ণনা করা হয়েছে।. ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে এ আমার পর্যায়ে কেউ নেই, এখানে আমার নামটাই বলা হয়েছে , ভবিষতে আমাদের চেয়ে আরো ভালো কেউ আসলে তখন আমাদের নামটা কেটে দিয়ে তাদের নাম বসবে। আমি আশায় রইলাম।.
২) এক পেজ এ চৌধুরী বাড়ির প্রায় ২৭০-৩০০ বছর ইতিহাসের সকল পুরুষ ব্যক্তির নাম আছে.. মেয়েদের নাম ইচ্ছা করেই অল্প রাখা হয়েছে।.কারণ, মেয়েরা সাধারণত নিজেরাই আলাদা একটি পরিবারের সৃষ্টি করে, এদের বংশতালিকা আলাদা করে তাদের সন্তান সন্ততিরা বানাবে।..পুরানো বংশতালিকায় মেয়েদের নাম নেই, আমার টিতেও যেসব পরিবার যথেষ্ট জোর দিয়ে মেয়েদের নাম যোগ করতে বলেনি তাদেরটা যোগ করা হয়নি।. ভবিষতে মনিয়ন্দ চৌধুরী বাড়ি বা আশেপাশের এলাকায় যথেষ্ট পরিমান অবদান সাপেক্ষে মেয়েদের নাম ও গোল্ডেন করা যেতে পারে।.
কোথাও কোথাও নামের ভুল থাকতে পারে, তবে সেই ভুলগুলি নিজেরাই কলম অথবা wideout দিয়ে সংশোধন করা যাবে।. ৩৫০-৪০০ নামের মধ্যে থেকে ৫-১০ টি নামের ভুল থাকলেও সেটি ৯৫% এর বেশি accurate . কোনো নাম বাদ গেলেও accuracy ৯৫% এর উপরে থাকবে। ..ভুলত্রূটি গুলি যার যার পরিবার নিজেরা একটি কপি প্রিন্ট করে নিজেরাই হাতে লিখে সংশোধন করার জায়গা রেখে দেয়া হয়েছে, আমাকে জানানোর প্রয়োজন নেই,, আমি এই কাজটি সমাপ্তি ঘোষণা করছি।.. আলহামদুলিল্লাহ।..
৩) এই ধরণের ডিজাইন সমগ্র দুনিয়াতেই নতুন কনসেপ্ট, বাংলাদেশেও এই ধরণের আর ডিজাইন করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই... আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের বাড়ির বংশতালিকা একটি নতুন জায়গায় পৌছালো।..বংশতালিকা সংক্রান্ত gedcom ফাইল , এডোবি ইলাস্ট্রেটর ফাইল, jpeg এবং পিডিফ ফাইল এই লিংক এ সংরক্ষিত থাকবে , এখান থেকে যে কেও নিয়ে আবার ভবিষ্যতে পরিবর্তন পরিবর্ধন করতে পারবে।..
৪) দেয়ালে ঝুলাতে চাইলে, যে কোনো পরিবার তালিকাটি প্রিন্ট করে শুধু তাদেরনামগুলি একটা নীল হাইলাইটার দিয়ে রঙিন করে রাখতে পারে, এতে সেই পরিবারের নামগুলি বিশেষ ভাবে দৃষ্টিগোচর হবে.. ফ্রেম বানাতে চাইলে। .
৪০ ইঞ্চি বাই ৪০ ইঞ্চি প্রিন্ট ...সবচাইতে অপটিমাল প্রিন্ট হবে,, এর চেয়ে ছোট সাইজ প্রিন্ট করলে বর্গাকৃতির করে প্রিন্ট করতে হবে, তবে বেশি ছোট করলে লেখা পড়া যাবেনা।.
৫) প্রতিটি বৃত্ত একটি করে জেনারেশন , প্রতিটি বৃত্তের মাঝে ফাঁকা জায়গায়, কেউ চাইলে .. প্রিন্ট করা চার্ট এর উপর নিজেদের তথ্য হাতে লিখে এরপর নিজেদের বাড়ির দেয়ালে রাখতে পারেন।.
৬) এলাকায় জমি দানের ক্ষেত্রে , আমি শুধু আমার কাছে প্রমাণিত তথ্য আছে এবং এককভাবে ৫ শতকের বেশি জমিদান করেছেন তাদের নাম গোল্ডেন করা হয়েছে।. ভবিষতেও যারা বাড়িতে বা এলাকায় যে কোনো চ্যারিটি কাজে ৫ শতক এর বেশি দাতা দের নাম গোল্ডেন করা হবে ইনশাল্লাহ।. আমার কাছে প্রমাণযোগ্য তথ্য না থাকলে সেই তথ্য যোগ করা হয়নি।..কেউ বাদ পড়ে থাকলে সেটি উনার নিকট আত্বিয়স্বজনের ব্যর্থতা,, তথ্য দিয়ে সহায়তা না করার কারণে নাম বাদ পড়লে আমি দায়ী নই। ..দীর্ঘ চার বছর ধরে চার্টটির তথ্য জোগাড় করা হয়েছে, যারা এর পরেও তথ্য দেন নি, তারা ইচ্ছা করেই তথ্য যুক্ত হোক সেটি চান নি...
৭) আমাদের বাড়ির ৮ জন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, কিন্তু ২০২০-২০২১ সালে নতুন করে সরকার কর্তৃক যাচাই বাছাই করা হয়.. নতুন সরকারি তালিকায় শুধু ৫ জনের নাম স্থান পেয়েছে।. এই পাঁচটি নামই নতুন বংশতালিকায় আলাদা করে লাল বৃত্তাকার চিহ্ন দিয়ে দেখানো হয়েছে।. এর সাথে পুরানো রেকর্ড এ থাকা "শহীদ বাবরু চৌধুরীর" নাম স্থান পেয়েছে।. মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেলায়, সরকারি তালিকার বাইরে গিয়ে আমি আমার নিজের ক্রেডিবিলিটি নষ্ট করতে রাজি নই। . সরকারি তালিকায় যুক্ত হলে ভবিষতে আরো নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে, তবে সেটি সরকারের ইচ্ছা, আমার নয়..
[মরহুম নজির চৌধুরীর নাম ২০২২ সালের আপডেট এ যুক্ত করে দেয়া হবে
মরহুম নাসিম চৌধুরী / মিলন চৌধুরীর নাম সরকারি তালিকায় যুক্ত করার কাজ চলমান।.]
৮) জনাব আজাদ চৌধুরীর ২০১০ সালের আংশিক বংশতালিকা থেকে ২/৩ জেনারেশন আগের পুরানো কিছু ডাকনাম যুক্ত করা হয়েছে।. পুরানো মুরুব্বিদের কিছু চাকুরীর তথ্য যথাসম্ভব যোগ করা হয়েছে।. এ ব্যাপারে জনাব আজাদ চৌধুরীর বংশতালিকার তথ্য যোগ করা হয়েছে।.
২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বংশতালিকা তৈরির ঘটনা প্রবাহ:
২০১৮ সালে
মরহুম মমিনুল হক চৌধুরীর তৈরিকৃত বংশতালিকা কে মূল ভিত্তি ধরে ডিজিটিজেশন এর কাজ শুরু হয়েছে।.
মরহুম সাইদুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে রাখা বংশতালিকার সাথে সমন্বয় করা হয়েছে।..
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহের জন্য ১০-১৫ বার নোটিশ দেয়া হয়েছে।. চৌধুরী বাড়ির প্রত্যেক পরিবারের ঘনিষ্ট ব্যক্তিরা উক্ত নোটিশ দেখেছেন।.
২০১৯ সালে
৭-৮ বার খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
যারা নামের ভুল ত্রুটি দেখিয়ে দিয়েছেন, তাদের নাম সংশোধন করা হয়েছে।.
মরহুম জসিম চৌধুরীর তৈরিকৃত আংশিক বংশতালিকা সমন্বয় করা হয়েছে।.
২০২০ সালে
জনাব আজাদ চৌধুরীর তৈরিকৃত বংশতালিকা সমন্বয় করা হয়েছে।.
৪-৫ বার খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।.
মনিয়ন্দ চৌধুরী বাড়ি মসজিদে খসড়া তালিকা সংশোধনের জন্য ১৫ দিন রেখে দেয়া হয়েছে।.
বাড়ি বাড়ি গিয়ে নামের আরো কিছু সংশোধন করা হয়েছে।.
২০২১ সালে
মনিয়ন্দ চৌধুরী বাড়ির নতুন বংশতালিকায় ২৫০ বছরের সদস্যদের মধ্যে থেকে সমাজে পরিমাপযোগ্য কাজ বা বিশেষ অর্জন অথবা সর্বপ্রথম বিশেষ কোনো বিষয়ে স্থান অর্জন কারী ব্যক্তিদের নাম স্বর্ণালী রং করা হয়েছে।.. আমি নিজে স্বর্ণালী করার বিশেষ কিছু ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করেছি।. বংশতালিকা নিয়ে যারা অতীতে কাজ করেছেন জনাব আজাদ চৌধুরী ছাড়া তারা কেউ ই জীবিত নেই.. তাই আমি যেহেতু নতুন তালিকার প্রকাশক, আমি নিজে Criteria নির্ধারণ করেছি।. ভবিষতে অন্য কেউ চাইলে এটি পরিবর্তন করতে পারে, ... উল্লেখ্য তালিকা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার সাথে জনাব আজাদ চৌধুরীর কয়েকবার ইন্টারভিউ হয়েছে।..
সবশেষে, আমার কাজটির উদেশ্য কাউকে খুশি বা অখুশি করা নয়.. কাজটির দুইটি উদ্দেশ্য
উদ্দেশ্য - ১:
(জনাব বা মরহুম ) মমিনুল হক চৌধুরী, সাইদুর রহমান চৌধুরী, আজাদ চৌধুরী , জসিম চৌধুরী র মতো প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের কাজগুলি সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া.. উনাদের করে যাওয়া কাজটা ৩০-৩৫ বছর পর আরো এগিয়ে নেয়ায় নিজেকে Humble এবং Lucky মনে করছি।.
উদ্দেশ্য়-২
বাড়ির নতুন জেনারেশন যে যেখানেই থাকুক, অনলাইন এ এই তথ্যগুলি পাওয়ার মাধ্যমে নিজেরা আরো ভালো করার একটা দিক নির্দেশনা পাবে বলে আমি আশা করি.. আগের জেনারেশন এর চেয়ে ভালো না করে, বা এলাকায় সময় না দিয়ে নামের পেছনে কি লেখা সেটি নিয়ে গর্বিত হওয়ার কিছু নেই...
আমার কাজটি সবার জন্য উন্মুক্ত , যে কেউ এখন থেকে কপি করতে পারবে, তবে আমার কাজ থেকে নকল করলে আমার নামটা নেয়ার অনুরুধ জানাচ্ছি।..
SAC/2021
Phoenix, AZ
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
মরহুম মমিনুল হক চৌধুরীর করা প্রিন্টেড বংশতালিকার বই থেকে আমি বাড়ির পুরানো বংশতালিকা নতুন করে তৈরী করার এবং এবং চৌধুরী বাড়ির মুক্তিযোদ্বাদের তালিকা ডিজিটাইজড করার প্রয়াস নেই।
আমি কাজটি শুরু করি ২০১৮ সালে এবং বেশ সময় ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ এর জন্য তালিকাটি তৈরির পরিকল্পনা করি..
আমার করা ফরমেট সবচাইতে আধুনিক এবং খুব সম্ভবত বাংলাদেশেই প্রথম এই ভাবে তালিকা করা হয়েছে।. গতানুগতিক বৃক্ষ ধরণের তালিকা না করে আমি সার্কল(Circle Fan Chart) বা বৃত্তের মতো করে তালিকাটি করেছি।. বংশতালিকাটি ইন্টারন্যাশনাল gedcom ফরমেট এ করা হয়েছে, যার ফলে ভবিষ্যতে যে কোনো বংশতালিকার সফটওয়্যার প্লাটফর্ম এ নেয়া যাবে।.
তালিকা তে নতুন ইনফরমেশন বা নতুন আপডেট এর জন্য আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে "মনিয়ন্দ চৌধুরী বাড়ি" ফেইসবুক গ্রুপ টি ব্যবহার করেছি।. ওখানে আমাদের বাড়ির প্রায় ১৫০ জন এর উপর সদস্য আছে যারা সবাই নিজের নিজের বংশতালিকার নামগুলি আপডেট করার সুজুগ পেয়েছে।.
২০১৮, ২০১৯, ২০২০ সালে অন্তত ১০ বার ফেইসবুক গ্রুপ এ বাড়ির সদস্যদের তালিকাগুলি দেখানো হয়েছে।. এবং সবাইকে তথ্য দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।.. ভবিষ্যতে আমি অনলাইন এবং digitized ভার্সন টি বাড়ির কোনো একজন তরুণ কে কিছুটা প্রশিক্ষণ দিয়ে হ্যান্ড ওভার করার আশা রাখি।. এছাড়া ফেইসবুক গ্রুপ, গুগল ড্রাইভ এ সফটকপি গুলি দিয়ে দেয়া হবে.. বাড়িতে কিছু পোস্টার প্রিন্ট করে দিয়ে দেয়া হবে যেন ভবিষ্যতে অন্য কেউ এটিকে আপডেট করতে পারে।.
২০২০ সালের ডিসেম্বরে মনিয়ন্দ চৌধুরী বাড়ি তরুণ সংঘের সহায়তায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে আরেকবার নামের সংশোধনী সংগ্রহ করা হয়..
আমি ডিজিটাল তালিকা তৈরী করার সময় খোঁজ নিতে গিয়ে মরহুম জিতু চৌধুরীর নাম বার বার এসেছে। জনাব আজাদ চৌধুরীর নাম এসেছে।.মরহুম মিলন চৌধুরীর নাম এসেছে।. বাড়ির মুরুব্বিদের সবার মতামতের ভিত্তিতে করা একটি তালিকা আমাদের বাড়ির এক সময়ের কর্মকান্ডের অন্যতম কেন্দ্রস্থল সাইদুর রহমান চৌধুরীদের বাড়িতে রাখা হয়েছে সবার দেখার সুবিধার্থে।. জিতু দাদা, আজাদ কাকা, মিন্টু কাকারা এটি তৈরিতে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন।. মরহুম সুলতান চৌধুরীর , মরহুম বাচ্চু চৌধুরীর নাম ও এসেছে।.
* ইনারা সবাই আমার মুরব্বি এবং আত্মীয় , বর্ণনা লেখার সুবিধার্থে সবাইকে আলাদা করে সম্পর্ক উচ্চারণ করে লেখছি না..

ছবি : নাম স্বর্ণালী রং করার ক্রাইটেরিয়া
(মরহুম)
জিতু চৌধুরী, বাচ্চু চৌধুরী, সুলতান চৌধুরী , মিলন চৌধুরী, সাইদুর রহমান চৌধুরী:
মরহুম সাইদুর রহমান চৌধুরীদের বাড়ির বৈঠক খানায় ৩০-৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রকাশ্যে ঝুলানো আছে.. উনার তালিকাটিকে আমরা আমাদের বাড়ির একটি একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে ধরতে পারি.
মরহুম সাইদুর রহমান চৌধুরীরা, উক্ত চার্টে বাড়ির মুক্তিযোদ্ধাদের নামগুলিও প্রকাশ করে যান. উক্ত তালিকায় ৫ জন কে মনিয়ন্দ চৌধুরী বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হয়.. এই চার্ট বাড়ির সকল মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত থাকার সময় কালে এবং সকল মুরুব্বিদের জানামতে করা হয়েছিল।.
তবে, বর্তমানে চার্টটি মরন দশায় আছে..
মরহুম মমিনুল হক চৌধুরী
বাড়ির ভবিস্যত নিয়ে আরেকজন ভাবতেন, সেটা হচ্ছেন আমার বাবা মরহুম মমিনুল হক চৌধুরী, তিনি বংশতালিকার একটি বই তৈরী করে দিয়ে যান, যেটি কে আমি ২০১৮ সালে ডিজিটাইজড(Digitized) করি. আমার কাজের জন্য আমি উনার কাছে সরাসরি কৃতগ্গ, মমিনুল হক চৌধুরী হতে প্রাপ্ত টাইপ করা বংশতালিকার বইটি আমার হাতে না আসলে আমি হয়তো কাজটি নতুন করে ধরার সাহস পেতাম না..উনার বংশতালিকার বইটি ছাড়া, বাড়ির বংশতালিকা নতুন করে ডিজিটাইজড করা সম্ভব হত না, আমাদের বাড়ির বংশতালিকার ইতিহাস হয়ত চিরকালের মতহারিয়ে যেত.
মরহুম মমিনুল হক চৌধুরীর তৈরী করা বংশ তালিকার চার্ট নিচের লিন্কে পাবেন:
https://drive.google.com/file/d/1AKxf3Vg-njwCRS1JX5XH6a2WaxTiRajA/view?usp=sharing
মরহুম সাইদুর রহমান চৌধুরীদের বাড়িতে থাকা করা বংশতালিকার চার্ট এবং মমিনুল হক চৌধুরীর করা বংশতালিকার বইটি র মধ্যে তথ্যের কোন অমিল নেই.. একই নামগুলি বংশাক্রমিক ভাবে দেয়া আছে। দুইটি তালিকাতেই একই তথ্য দেয়া আছে, কোন অমিল নেই।
জনাব আজাদ চৌধুরী(মামুনুর রশিদ চৌধুরীর) তৈরিকৃত এক্সেল বংশতালিকা :
এটি ই প্রথম কম্পিউটার digitized ভার্সন, যেটি আজাদ কাকা মাইক্রোসফট এক্সেল এ করেছিলেন। বংশতালিকা টি আধুনিক ভাবে তৈরী করার ইচ্ছা এবং প্রয়াস এই তালিকাটি দেখলে স্পষ্ট বুঝা যায়.. এটিও বুঝা যায় যে এর পেছনে উনি বেশ সময় ব্যয় করেছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ এই তালিকাটি আমি আমার কাজ এর শেষ পর্যায়ে হাতে পেয়েছি এবং এটিকেও আরেকটি রেফারেন্স হিসাবে আমরা ধরতে পারি।.এই তালিকাতে কিছু ডাকনাম যোগ করা হয়েছে এবং কিছু কিছু নাম এর প্রফেশন বা কি করতেন সেটি যোগ করা হয়েছে।.
জনাব আজাদ চৌধুরীর তালিকাটি নিচের লিংক থেকে পাওয়া যাবে:
https://drive.google.com/file/d/1v5x0GbFftfI59-EHwhn7R2hZh_Rqc-wN/view?usp=sharing
মরহুম জসিম চৌধুরী:
২০১৯ সালে সোহাগ চৌধুরী হতে প্রাপ্ত মরহুম জসিম চৌধুরীর করা একটি কম্পিউটার কম্পোজ করা আংশিক তালিকা আমার হাতে আসে, সেটিতে বাচ্চু মিয়া চৌধুরী ও জিতু চৌধুরীর তথ্যে জসিম চৌধুরী তালিকাটি তৈরী করেন।. উক্ত তালিকায় আরো কিছু নতুন তথ্য পাওয়া যায়, যেমন বকর খান চৌধুরীর আগের দুইটি জেনারেশনের নাম , এবং পরবর্তী বংশধরদের আরো কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়.. আমি সেই তথ্যগুলিও নতুন তালিকাতে সন্নিবেশিত করছি।.
মরহুম জসিম চৌধুরীর করা আংশিক বংশতালিকার চার্ট নিচের লিংক এ পাবেন
https://drive.google.com/drive/folders/1mHAz092apijvTwHWozakLw_U1TWyil_E?usp=sharing
আমি আমাদের পুর্ব পুরুষ (মরহুম)--> সুলতান চৌধুরী, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মমিনুল হক চৌধুরী, জসিম চৌধুরীর কাজগুলির গুরুত্ব উনাদের মত করেই অনুধাবন করি,..
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকে সৌভাগ্য দিয়েছেন কাজগুলিকে হারিয়ে না যেতে দেয়া, মনিয়ন্দ চৌধুরী বাড়ির বংশ তালিকার সর্বাধুনিক ডিজিটাইজড ভার্সন তৈরি করার জন্য ঘন্টা পর ঘন্টা সময় দিয়েছি। আশা করি, এবার আমাদের পুর্বপুরুষ দের লিগেসি হারাবে না.. অনলাইনে ডিজিটাইজড হওয়ার কারনে, বর্তমান প্রজন্ম তাদের খুজে পাবে অতি সহজেই। নতুন করে গোলাকার ভাবে তৈরী করার কারণে, বংশতালিকায় যে কেউ নিজের অবস্থান সহজেই খুঁজে পাবে।. এছাড়া গোলাকার চার্ট বাড়িতে প্রদর্শন করার সহজ হবে..
আল্লাহের কাছে হাজার শুকরিয়া, আমার জন্য এত বড় কাজ রাখার জন্য। আশা করি ভবিস্যতে বাড়ির তরুনেরা চার্ট টি আপডেট করতে থাকবে। ডিজিটাইজড হওয়ার কারনে আমাদের পরিচয়, বংশতালিকা টি হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই আর, আলহামদুলিল্লাহ.।
কোথাও ভুল থাকলে, দয়া করে দেখিয়ে দিলে আমরা ভুলগুলি সংশোধন করব, কিন্তু অবশ্যই যথাযথ সূত্রসহ যোগাযোগ করবেন ..
-সজিব চৌধুরী
জুন, ২০১৯, নর্থ আমেরিকা